নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদক বিরোধী অভিযানের নামে যেমন মানুষ হত্যা করছে সরকার, তেমনি এই বাজেটের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে সরকার। মাদক বিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ মানুষের মনে ভয় ঢোকানো হচ্ছে। একদিকে তারা মানুষ হত্যার বাজেট তৈরী করছে, অন্যদিকে তারা মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। যাতে মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে না পারে।
এই এক তরফা বাজেটকে প্রত্যাখান করে ‘সাধারণ মানুষের আত্মনির্ভরশীল বাজেট ও বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধের’ দাবিতে বাসদ ও সিপিবি’র মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন ।
রবিবার (১০ জুন) নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সকালে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাইম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, মহানগর সিপিবির সভাপতি কমরেড আব্দুর হাই শরীফ, সিপিবির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম সহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সমাজ তান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাইম খান বিপ্লব বলেন, এই বাজেট এ বাজেট সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নয়। মাদক বিরোধী অভিযানের নামে যেমন মানুষ হত্যা করছে সরকার, তেমনি এই বাজেটের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে সরকার। আমরা এই এক তরফা বাজেটকে প্রত্যাখান করছি।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ মানুষের মনে ভয় ঢোকানো হচ্ছে। একদিকে তারা মানুষ হত্যার বাজেট তৈরী করছে, অন্যদিকে তারা মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। যাতে মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে না পারে। শিক্ষা, চিকিৎসার মত সাধারণ মানুষের জন্য কল্যানকর যে দিকগুলো সেখানে বাজেট কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যেখান থেকে টাকা পকেটে ভরা যায়, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সুবিধা যেখানে আছে তারা সেখানে বাজেটের চাইতেও বেশি টাকা ব্যয় করছে। গত বাজেটেও আমরা একই রকম দেখেছি। তাই গত বাজেটের মত আমরা এই বাজেটকেও প্রত্যাখান করছি।
সিপিবির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, আপনারা মাদক বিরোধী অভিযান চালাচ্ছেন, আমরা তার বিরোধীতা করছি না। কিন্তু অভিযানের নামে আমরা নির্বিচারে মানুষ হত্যা সমর্থন করি না। আইন শৃংখলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কাছে মাদক স¤্রাটদের নাম আছে। যেখানে সরকারের এমপি, মন্ত্রী সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর বড় কর্মকর্তার নামও পাওয়া গেছে। কিন্তু যারা মাদকের গডফাদার, যারা মাদক সর্বত্র ছড়াচ্ছে সরকার তাদের না ধরে এসব রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে চুনো পুটিদের হত্যা করছে। চুনো পুটিদের হত্যা করে মাদক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না। যদি মাদক নিয়ন্ত্রনের জন্যই অভিযান চালানো হয়ে থাকে তবে বদির মত মাদক স¤্রাট কিভাবে কাবা শরীফে হজ্ব করতে যায়? লোক দেখানো অভিযান বন্ধ করুন। নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন।